বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » যে কারণে কাবুল থেকে তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার চায় না ন্যাটো

যে কারণে কাবুল থেকে তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার চায় না ন্যাটো 

171602_bangladesh_pratidin_nato

ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতের দ্বিমত নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে আফগানিস্তান থেকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতের অমিল দেখা যাচ্ছে ন্যাটোর। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ফগানিস্তান ও ইরাক থেকে ট্রাম্প মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন। যার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি চেয়েছিলেন, অর্ধেক মার্কিন সেনা বড়দিনের মধ্যে আমেরিকায় ফিরে আসুক।

মার্কিন মিডিয়ার রিপোর্ট, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেনা যাতে ফিরে আসতে পারে ট্রাম্প এ বার সেই নির্দেশ দিতে চলেছেন। আফগানিস্তানে এখন সাড়ে চার হাজারের মতো মার্কিন সেনা আছে। ইরাকে আছে তিন হাজার। দুই জায়গাতেই সেনার সংখ্যা অর্ধেক করা হতে পারে।

কিন্তু আমেরিকা যে ভাবে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করছে, তাতে ন্যাটো উদ্বিগ্ন। ন্যাটোর মতে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার করা উচিত। এ নিয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। এই দুই দেশে ন্যাটোর শরিক দেশের সেনাও আছে।  ন্যাটোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ”আফগানিস্তানে ১২ হাজারের মতো সেনা আছে। আমরাও আমাদের সেনা অ্যাডজাস্ট করছি। প্রয়োজনের থেকে এক মুহূর্ত বেশি সেনা সেখানে থাকবে না। আবার এও সত্যি, অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমরা যে লাভ পেয়েছি, তাও আমরা হারাতে চাই না।”

ন্যাটোর সচিব এখন সদ্যনিযুক্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলছেন। আফগানিস্তানে ন্যাটোর সেনা যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার জন্য পুরোপুরি আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। তাই আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলায় ন্যাটোও বিপাকে পড়েছে। আবার ট্রাম্পের কার্যকাল শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু তিনি বাইডেনকে ক্ষমতা ছাড়তে চাইছেন না। তাই বাইডেন এই ব্যাপারে কী মনে করেন, তা জানা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে আছে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, ন্যাটো সচিবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সচিব মিলারের আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানে সহযোগিতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানে বিদেশি যত সেনা আছে, তার অর্ধেক আমেরিকার। দোহাতে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনা এগোচ্ছে না। তাই আফগানিস্তানে আবার মাঝে মধ্যেই সহিংসতা দেখা যাচ্ছে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone