বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জানা-অজানা » কিয়ামতে সুন্দর চরিত্রের অধিকারীরা হবেন রসুল (সা.)-এর প্রিয়

কিয়ামতে সুন্দর চরিত্রের অধিকারীরা হবেন রসুল (সা.)-এর প্রিয় 

islamরসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সুন্দরতম চরিত্রের অধিকারী। এ ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই অতুলনীয়। বিধর্মীরাও তাঁর সুন্দর চরিত্র ও মানবিক গুণাবলির প্রশংসা করেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে সেই হবে আমার অতি প্রিয় ও সর্বাপেক্ষা নিকটে উপবেশনকারী, তোমাদের মধ্যে যে সুন্দরতম চরিত্রের অধিকারী। আর সেই হবে আমার কাছে অপ্রিয় ও সবচেয়ে দূরে অবস্থানকারী, যে বেশি বেশি ও বড় বড় কথার মাধ্যমে অহংকার করে। ’

শান্তিপূর্ণ সমাজ ও দেশ গঠনে ভালো মানুষের প্রয়োজন। সুন্দর চরিত্রের অধিকারী ভালো মানুষ সমাজ থেকে অশান্তি দূর করতে পারেন। পৃথিবীতে তারা গড়ে তুলতে পারেন সৌহার্দ্যের পরিবেশ। যে কারণে রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের সুন্দর চরিত্রের প্রতি তার পছন্দের কথা বলেছেন।

উপরোক্ত হাদিসে প্রমাণিত হয়, অহংকারী ও বাক্যবাগীশরা আমাদের সমাজের মানুষের কাছে প্রিয় নয়, তেমনি আল্লাহর রসুলের কাছেও অপ্রিয়। নিজেকে রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় উম্মত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অহংকার ও বড় বড় কথা বলার কুঅভ্যাস ছাড়তে হবে।

শুধু অহংকারী হওয়া থেকে দূরে থাকা নয়, অপচয় ও ভোগ-বিলাসিতা থেকেও দূরে থাকতে হবে। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সোনা অথবা রুপার পাত্রে বা সোনা-রুপামিশ্রিত পাত্রে পান করে, সে নিজের পেটে জাহান্নামের আগুন ঢালে। (দারু কুতনি থেকে মিশকাতে)।

উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে, সহজ-সরল জীবনযাপনই মুমিনদের কাম্য হওয়া উচিত। অপচয় ও ভোগ-বিলাসের মাধ্যমে জাহান্নামকে আমন্ত্রণ করা কারোরই উচিত নয়। আল কোরআনের সূরা আশ শামসের ৯ ও ১০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে-ই সফলকাম হবে যে নিজেকে পবিত্র করবে এবং সে-ই ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করবে। ’ উপরোক্ত দুটি আয়াতে স্পষ্ট করা হয়েছে আল্লাহর কৃপা লাভ করতে হলে নিজেকে পবিত্র করতে হবে, সব ধরনের কলুষতামুক্ত হতে হবে। নিজের আত্মাকে অন্ধকার থেকে বের করে আনতে হবে। আল্লাহর কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করতে হবে।

আমরা যদি নিজেদের জীবনকে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শের আলোকে আলোকিত করতে চাই, যদি আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি চাই তবে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের শুদ্ধ করতে হবে। নিজেদের বিবেক ও বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কোনটি ভালো কোনটি মন্দ তা উপলব্ধি করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথের অনুগামী হওয়ার, তাঁর প্রতি অনুগতশীল হওয়ার তৌফিক দান করুন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone