বাল্টিমোরে দাঙ্গা
যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর নগরীতে অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের রক্ষায় কর্তৃপক্ষ সোমবার হাজার হাজার পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশের বর্বরতায় বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ার পর দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এ মাসের গোড়ার দিকে গ্রেফতারকালে মেরুদন্ডে মারাতœক আঘাত পেয়ে মারা যাওয়া এক কৃষ্ণাঙ্গের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের পর বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা স্থানীয় বিভিন্ন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
পুলিশ জানায়, ২৫ বছর বয়সী ফ্রেডি গ্রে’র পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানানো সত্ত্বেও মূলত আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান তরুণ নাগরিকরা রাজপথে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে সংঘর্ষে ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২৭ জনকে গ্রেফতার করে।
এ অবস্থায় বন্দর নগরীতে ব্যাপক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে এবং দোকানপাট লুটপাট ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ফলে মেরিল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
এ সময় নগরীর পশ্চিমাঞ্চলে সবচেয়ে বেশী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে বাল্টিমোরের পূর্বাঞ্চলে একটি বড় ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
মেয়র স্টিফানি রাওলিং-ব্লেক সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানান এবং মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে নগরীতে কারফিউ জারি করেন।মেরিল্যান্ড পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট কর্নেল উইলিয়াম পালোজি জানান, তিনি নগরীতে ৫শ’ পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং মিড-আটলান্টিক সীমান্ত অঞ্চল থেকে আরো ৫ হাজার পুলিশ চেয়েছেন।
এদিকে ন্যাশনাল গার্ড কমান্ডার অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল লিন্ডা সিং জানান, তিনি ৫ হাজার সৈন্য প্রস্তুত রেখেছেন। জন নিরাপত্তা ও সম্পদ রক্ষার প্রয়োজনে তাদের মোতায়েন করা হবে।