বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ইটিভি চেয়ারম্যানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

ইটিভি চেয়ারম্যানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি 

মোরশেদ ইকবালঃ পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভির (ইটিভি) চেয়ারম্যান আবদুস সালামের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার সূচনা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।আদালত আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়েছেন

etv

গত সোমাবর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আবদুস সালামকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাক পরা ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা ডিবি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে জানায়, তাকে পর্নোগ্রাফি আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পরদিন মঙ্গলবার ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফির একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সালামকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে মামলায় ডায়েরি না থাকায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। যে মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে এর বাদী ক্যান্টনমেন্ট থানার উত্তর মানিকদীর মৃত ডা. আব্দুর রবের মেয়ে কানিজ ফাতেমা।ইটিভির অনুষ্ঠান একুশের চোখে গত ৪ অক্টোবর একটি প্রতিবেদন পরিবেশিত হয়। পরে ৬ নভ্ম্বের এটি পুনরায় পরিবেশন করা হয়। এর প্রক্ষিতে কানিজ ফাতেমা বাদী হয়ে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক মো. ইলিয়াসসহ মোট চারজনকে আসামি করে ওই মামলা দায়ের করেণ। ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।মামলায় নেথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২৯ নভেম্বর বাদীনির সঙ্গে মামলার আসামি শাহজালালের বিয়ে হয়। পরে শাহজালাল বিদেশে থাকাকালীন অপর আসামি জহিরুলের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। জহিরুল এক সময় গোপনে বাদীনির স্থির ও ভিডিওচিত্র ধারণ করেন ও সম্পাদনার মাধ্যমে অন্য নারীর অশ্লীল চিত্রের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমসহ ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।এরপর শাহজালাল বাদীনিকে তার বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাট ও ৫ম তলার ফ্লোর তার নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বাদীনি তা লিখেও দেন। পরে আরো সম্পদ লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকলে বাদীনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে তিনি স্বামীকে তালাক দেন।এরপর শাহজালাল ও জাকির হোসেন বাদীনির ছবি বিভিন্ন নারীর অশ্লীল ছবির সঙ্গে জুড়ে পোস্টার তৈরি করে বাদীনিরই বাড়ির আশেপাশের এলাকায় লাগিয়ে দেন। এইসব ছবি নিয়ে আসামি মো. ইলিয়াসের তৈরি করা প্রতিবেদন বেসরকারি চ্যানেল একুশে টিভির ‘একুশের চোখ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করা হয়।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone