বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জানা-অজানা » প্রেমের টানে কাঁটাতারের বাধা !

প্রেমের টানে কাঁটাতারের বাধা ! 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ    প্রেমের টানে কাঁটাতারের বাধা পার হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন ভারতের তরুণী পম্পা মণ্ডল। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আমজাদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দুজনে ঘর বাঁধেন। কিন্তু কাঁটাতারের সীমানা বাধা হয়ে দাঁড়াল তাঁদের জীবনে। বিনা পাসপোর্টে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার দায়ে আদালত তাঁকে ১৫ দিনের সাজা দেন। কারাভোগ শেষে আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে তিনি নিজ দেশ ভারতের পথে পাড়ি দিয়েছেন
kata

কুষ্টিয়া কারাগার থেকে বের হওয়ার পর পম্পা মণ্ডলকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমা‌ন্তে নেওয়া হয়। সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মাধ্যমে তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।কারাগার থেকে বের হয়ে পম্পা মণ্ডল বলেন, ‘ইন্ডিয়া আমার কাছে ভালো লাগে। তারপরও আমজাদকে ভালো লেগেছিল। বিয়েও হয়েছিল। কিন্তু এখন ভাগ্যের লিখনে দেশে চলে যেতে হচ্ছে।’কুষ্টিয়া কারাগারের কারা তত্ত্বাবধায়ক মকলেছুর রহমান জানান, পম্পা মণ্ডলের ১৫ দিনের সাজা হয়েছিল। এরপর তাঁকে দেশে পাঠানোর ব্যাপারে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চিঠি আদান-প্রদান হয়। গত সপ্তাহে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন সরকারি সফরে ভারতে গিয়ে পম্পা মণ্ডলকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি জানান। এ সময় জানানো হয়, দর্শনা সীমান্তে পম্পার পরিবার তাঁকে নিতে আসবে।সকালে কারাগারে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের নারী সদস্যসহ পাঁচ সদস্যের একটি দল পম্পাকে গাড়িতে করে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে ট্রেনে করে তাঁকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় নেওয়া হবে। এরপর তারা তাঁকে দর্শনা সীমা‌ন্তে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করবে।পম্পা মণ্ডলকে ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা ‘সংলাপ’ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) কাজ করেছে। ব্লাস্ট, পুলিশ ও কুষ্টিয়া কারাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের আমজাদ আলীর সঙ্গে পম্পার কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পম্পার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার মুরুটিয়া থানার শিকারপুর গ্রামে। গত ১৪ মে তিনি বাড়ির পাশের হাঁটুপানির মাথাভাঙ্গা নদী পাড়ি দিয়ে আমজাদের কাছে আসেন। দুজনে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।পম্পা বাড়ি ছেড়ে চলে আসার পরপরই তাঁর বড় ভাই অনুপ মণ্ডল স্থানীয় মুরুটিয়া থানায় আমজাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। একই সঙ্গে তিনি কলকাতায় সংলাপ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠনকে বিষয়টি জানান। পরে সংলাপ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিকে জানিয়ে পম্পাকে উদ্ধারে সহায়তা কামনা করে। ২৪ দিন সংসার করার পর মানবাধিকারকর্মীদের সহায়তায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তাঁকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার দায়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। বিনা পাসপোর্টে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার দায়ে আদালত তাঁকে ১৫ দিনের সাজা দেন।কারা তত্ত্বাবধায়ক মকলেছুর রহমানের ভাষ্য, সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। গত ৯ নভেম্বর দর্শনা সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁর পরিবার না আসায় তাঁকে ফেরত না পাঠিয়ে আবার কারাগারে নেওয়া হয়েছিল।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone