বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » পাইপে শিশু পড়ার খবর নিতান্তই “গুজব”!

পাইপে শিশু পড়ার খবর নিতান্তই “গুজব”! 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ    ঘটনাস্থলে অপেক্ষায় ছিলেন অসংখ্য সাংবাদিক। তাক করা ছিল ক্যামেরাও। সরাসরি শিশু জিহাদকে উদ্ধারের ঘটনা দেখছিল দেশবাসী। গোটা দেশে যেন প্রার্থনা চলতে থাকে- জীবিত ফিরে আসুক জিহাদ। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে রাত আড়াইটার দিকে জানা গেলে, পাইপে শিশু পড়ার খবর নিতান্তই “গুজব”! এমনটাই জানিয়েছেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি নিশ্চিত করেছেন, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরায় শিশুদেহের সন্ধান মেলেনি।

রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গর্তের শুধুমাত্র ডেবরিস (ময়লা-আবর্জনা) পাওয়া গেছে। কোনো শিশুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।jihad

তিনি বলেন,  ‘প্রায় ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৫৩ ফুট নিচেও শিশুর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে গর্তে টিকটিকিসহ কিট পতঙ্গ আছে। এতে বোঝা যায় সেখানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন আছে। যদি শিশুটি পড়েও থাকে তবে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে।’প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশুটি পাওয়া না গেলেও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ঘটনাস্থলে থাকবেন। তিনি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন।এর খানিক পরই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কথা মানতে নারাজ শিশুটির মা।তিনি বলছেন, ‘আমার ছেলে ওখানেই পড়েছে। তারা উদ্ধার করতে না পেরে বলছে কিছুই পাওয়া যায়নি।’

রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে পাম্প থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে রেলওয়ে কলোনির একটি বাড়ির দোতলায় পরিবারের সঙ্গে থাকে জিহাদ। তার বাবা নাসির উদ্দিন মতিঝিলের একটি বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে জিহাদ সবার ছোট।শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে প্রায় চারশ ফুট গভীর একটি পরিত্যক্ত পাইপে ‘পড়ে যায়’ জিয়াদ। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাইপের ভেতর রশি ফেলে অন্তত ৫ বার শিশুটিকে তোলার চেষ্টা করে। তবে সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ওই সময় শিশুটি পাইপের নিচে আছে এবং সে জুস খাচ্ছে বলে উদ্ধারকর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে ওয়াসার অত্যাধুনিক বোরহোল ক্যামেরা দিয়ে পাইপের নিচে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। সবশেষে উদ্ধারকর্মীদের পক্ষ থেকে নিচে কোনো শিশু নেই বলে জানিয়ে কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়।এ দিকে, ফায়ার সার্ভিস কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার পর ওশ্যান ওয়াইস নামের একটি বেসরকারি সংগঠন নতুন করে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। তারা একটি বিশেষ ক্যামেরা পাইপে প্রবেশ করিয়ে দেখছে শিশু জিয়াদ সেখানে নেই। তাদের ক্যামেরাটি ২৪০ ফুট পর্যন্ত যাওয়ার পর কিছু কর্কশিট দেখতে পাওয়া যায়। স্বেচ্ছাসেবকরা নানাভাবে পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছে কর্কশিটের নিচে কোনো পানিও নেই। এছাড়া জুসের প্যাকেটও পায়নি তারা।

 

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone